উম্মাদ রোগের চিকিৎসা Ummad Roger Chikitsa
উম্মাদ রোগ
উম্মাদ প্রত্যেক ঐ ব্যক্তিকে বলা হয়, যার মেধা বিকৃত হয়ে গেছে, আর তার উপলব্ধি করার শক্তি এমন ভাবে বিকৃত হয়ে গেছে যে, তার আর কিছুই বোজার কোন শক্তি নাই, ফলে তার সব কথা কাজ সাধারণ মানুষের মতো নাই।
উম্মাদ রোগ দুই প্রকারঃ
(১) জন্মগত উম্মাদ ঐ ব্যক্তি যে উম্মাদ অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছে, তার মেধা জন্ম থেকেই অসম্পূর্ণ সে কোন কিছু কবুল করার যোগ্যতা রাখে না।এই প্রকার রোগী সাধারনত ভালো হওয়ার আশা করা যায় না।
(২) দুনিয়াবী কোন কারণে উম্মাদ ঐ ব্যক্তি যার উম্মাদ রোগ কোন কারণে হয়েছে, যেমন অসুস্থ্যতার কারণে বা জিনে আছর করার কারণে বা অন্য কোন কারণে। এই প্রকার উম্মাদ চিকিৎসা দ্বারা ভালো হওয়ার আশা আছে।
উম্মাদ রোগ চলোমান থাকা বা বন্ধ হওয়ার দিক দিয়ে আবার দুই প্রকার (১) جنون مطبق তথাঃ ঐ উম্মাদ যা একাধারে চলতে থাকে সুস্থ্য হওয়ার কোন নির্ধারিত সময় নাই।
(২) جنون غير مطبق তথাঃ ঐ উম্মাদ যা কিছু সময় থাকে আর কিছু সময় ঠিক হয়ে যায়।
উম্মাদ রোগের কারণঃ অতিরিক্ত শুক্রক্ষয়,শুক্রহীনতা,দীর্ঘদিন প্রবল জঠর রোগ,চিরকোষ্ঠবদ্ধতা,সীমাহীন মস্তিষ্কচালনা, চিরন্তন চিন্তা, দুশ্চিন্তা,স্ত্রী লোকের রিতু বন্ধ এবং অতিরিক্ত শোকের দরুন বা মাথায় আঘাতের কারণে হৃদয় ও মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে উম্মাদ রোগ সৃষ্টি হয়। প্রথমে কারণ নির্ণয় করবে, তারপর চিকিৎসা করবে। মাথায় প্রচন্ড আঘাতের কারণে উম্মাদ রোগ হলে তার চিকিৎসা প্রায় অসম্ভব।
কোষ্ঠাকাটিন্য বা জঠর রোগের কারণে উম্মাদ রোগ হলে,প্রথমে দেখতে হবে পেটে কোন দূষিত মল আছে কি না? দূষিত মল থাকলে পেটের চিকিৎসা করে দূষিত মল বাহির করতে হবে। এরপর থেকে যাতে হজম ও কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় সেদিতকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
অতিরিক্ত শুক্র ক্ষয় এর কারণে রোগ হলে ঠান্ডা অথচ শুক্রবর্ধক ঔষধ ও পথ্য ব্যবহার করবে।
অতিরিক্ত চিন্তা ও মস্তিষ্ক চালনা করার কারণে রোগ হলে, চিন্তা ও পরিশ্রম কুমাতে হবে। আর উপযুক্ত বিশ্রাম ও জায়েয আনন্দের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো একটি কারণে এই রোগ হয় তা হলো অনেক সময় জিনের কারণে এই রোগ আলামত হলো রোগী হঠাৎ করে কুরআন হাদিস জেনে যায় মানুষকে বিভিন্ন ওয়াজ নসিহাত করতে থাকে তবে তার কথা শুনে যে শুধু জি ঠিক বলেছে বলবে তাকে সে খুব ভালোবাসবে আর যদি কেউ তার ভুল ধরতে যায়, তাহলেই তাকে আর দেখতে পায় না সে ভালো না। আবার অনেকে হঠাৎ করে গান গাওয়া শুরু করে যে এতো বছর একটি গানও জানতো না সে এখন অনেক গান বলা শুরু করেছে। আবার অনেকে অতিতের এমন এমন কথা বলা শুরু করে যা সকলে ভুলে গেছে। আবার অনেকে বলে যে আমার কাছে জিনের বাদশা আসতেছে তার দলের লোকেরা একটু আগে এসেছিল। বিভিন্ন জিনের নাম বলতে থাকে এই সব পাগলামী যদি দিন রাত সব সময় করতে থাকে তাহলে তাকে উম্মাদ রোগের চিকিৎসা দিতে হবে এখানে যেনো কোন মুদাব্বির ঐ জিনকে হাজির করে ছাড়ানোর জন্য অজাথা সময় নষ্ঠ না করে, এতে রোগীর কোন লাভ হবে না কারণ এদের শরীরে জিন হাজির হবে না।
উম্মাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
حدثتني أم أبان بنت الزارع ، عن أبيها ، أن جدها الزارع ، انطلق إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فانطلق بابن له مجنون ، أو ابن أخت له ، قال جدي : فلما قدمنا على رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة ، قلت : يا رسول الله ، إن معي ابنا لي ، أو ابن أخت لي ، مجنونا ، أتيتك به تدعو الله له فقال : ্র ائتني به গ্ধ فانطلقت به إليه ، وهو في الركاب ، فأطلقت عنه ثياب السفر ، وألبسته ثوبين حسنين ، وأخذت بيده حتى انتهيت به إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ، فقال : ্র ادنه مني ، اجعل ظهره مما يليني গ্ধ فأخذ بمجامع ثوبه أعلاه وأسفله ، فجعل يضرب ظهره حتى رأيت بياض إبطيه ، ويقول : ্র اخرج عدو الله ، اخرج عدو الله গ্ধ ، فأقبل ينظر نظر الصحيح ، ليس بنظره الأول ، ثم أقعده رسول الله صلى الله عليه وسلم بين يديه فدعا له ، فمسح وجهه ودعا له ، فلم يكن في الوفد أحد بعد دعوة النبي صلى الله عليه وسلم يفضل عليه
নবীজি (সা.) এর দুআ দ্বারা উম্মাদ রোগের চিকিৎসা
নবীজি (সা.) যে রোগের চিকিৎসার কথা হাদীসে বর্ণনা করেছেন, তা সরাসরি আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে ওহীর মাধ্যমে জানানো হয়েছে, অতঃএব এই দুআগুলির প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে প্রয়োগ করতে পারলে ইনশাআল্লাহ সমস্যা যতো বড় হোক সমাধান হয়ে যাবে।
১ নাম্বারঃ-
عَنْ خَارِجَةَ بن الصَّلْتِ، أَنَّ عَمًّا لَهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَجَعَ مُرَّ بِهِ عَلَى أَعْرَابِيٍّ مَجْنُونٍ مُوثَقٍ بِالْحَدِيدِ، فَقَالَ لَهُ بَعْضُهُمْ: أَعِنْدَكَ شَيْءٌ نُدَاوِيهِ فَإِنَّ صَاحِبَكَ قَدْ جَاءَ بِخَيْرٍ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: فَرَقَيْتُهُ بِأُمِّ الْكِتَابِ ثَلاثَةَ أَيَّامٍ , كُلَّ يَوْمٍ مَرَّتَيْنِ فَبَرَأَ فَأَعْطَوْنِي مِائَةَ شَاةٍ، فَلَمْ آخُذْهَ حَتَّى أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ:”قُلْتَ غَيْرَ هَذَا؟”قُلْتُ: لا، قَالَ:”كُلْهَا بِسْمِ اللَّهِ، فَلَعَمْرِي لَمَنْ أَكَلَ بِرُقْيَةِ بَاطِلٍ، لَقَدْ أَكَلْتَ بِرُقْيَةِ حَقٍّ”.
বাংলা অনুবাদ
খারেজা বিনতে সালত (রা.) থেকে বর্ণিত তার এক চাচা নবী করীম (সা.) এর নিকট আসলেন, যখন তিনি ফিরছিলেন তখন এক বেদুইন লোহা দ্বারা বাধা এক পাগলের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, তাকে কেউ বলল, আপনার নিকট কি কিছু আছে যার দ্বারা এর চিকিৎসা করবেন? নিশ্চই আপনার নবী কল্যাণ নিয়ে এসেছে। তিনি বললেন হ্যা তিনি বলেন আমি তাকে ঝাড়ফুঁক করলাম সূরা ফাতেহা দ্বারা তিন দিন, প্রতিদিন দুই বার করে, ফলে তিনি সুস্থ্য হয়ে গেলেন। ফলে তারা আমাকে একশত ছাগল দিলো আমি উহা গ্রহণ করলাম না এমনকি আমি নবী করীম (সা.) এর নিকট এসে এবিষয় সংবাদ দিলাম, হুজুর (সা.) বললেন তুমি কি ইহা ব্যতিত অন্য কিছু পড়ছো? আমি বল্লাম না। তিনি বললেন আল্লাহর নামে উহা খাও। আমার জীবনের কসম ( এটা তার জন্য নিষেধ) যে খাবে বাতিল ঝাড়-ফুঁক দ্বারা, আর তুমি খেয়েছো সত্য ঝাড়-ফুঁক দ্বারা। (আল মুজামুল কাবির লিত-তাবরানি খ.১২ পৃ. ১৩৪)
এই হাদিস থেকে বুজে আসে এখলাসের সাথে উম্মাদ রোগীকে দিনে ২ বার করে সূরা ফাতেহা পাঠ করে ঝাগ-ফুঁক করলে রোগী সুস্থ্য হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে এই আমল হাদিস দ্বারা জানা যায় যে তিনি তিন দিন করছে তাই আমরা করার পরেও যদি ভালো ফায়দা না পাওয়া যায় তাহলে আরো কয়েক দিন তথা ৭ দিন বা ১৪ দিন বা ২১ করলে ইনশাআল্লাহ ভালো ফায়দা পাওয়া যাবে।
২ নাম্বারঃ-
عن ابن مسعود ، قال : ্র من قرأ عشر آيات من سورة البقرة أول النهار لم يقربه شيطان حتى يمسي ، وإن قرأها حين يمسي لم يقربه حتى يصبح ولا يرى شيئا يكرهه في أهله وماله ، وإن قرأها على مجنون أفاق : أربع آيات من أولها وآية الكرسي ، وآيتين بعدها وثلاث آيات من آخرها
বাংলা অনুবাদ
ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,যে ব্যক্তি সকালে সূরা বাকারার দশটি আয়াত তেলাওয়াত করবে সন্ধা পর্যন্ত তার নিকট শয়তান আসতে পারবে না,আর যদি উহা সন্ধায় পাঠ করে তবে সকাল পর্যন্ত তার নিকট শয়তান আসবে না আর তার সম্পদ ও পরিবারে কোন অপছন্দনীয় কিছু দেখবে না। আর যদি ঐ দশ আয়াত পাগলের উপর পাঠ করে তবে সে সুস্থ্য হয়ে যাবে।চার আয়াত সূরার শুরুতে এবং আয়াতুল কুরছি ও তার পরে দুই আয়াত,আর সূরা শেষের তিন আয়াত।
এই হাদিস থেকে বুজা যায় এখলাসের সাথে সূরা বাকারার দশটি আয়াত পাঠ করে পাগল রোগীকে ঝাড়-ফুঁক করলে ইনশাআল্লাহ রোগী সুস্থ্য হয়ে যাবে। তবে ধৈর্য ধরে আল্লাহ তা’য়ালার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে আমল করতে থাকতে হবে। কেউ কেউ ৭ দিনে, কেউ ১৪ দিনে, আর কেউ ২১ দিবে কেউ বা আবার ৪১ দিনে সৃস্থ্য হবে ইনশাআল্লাহ। (শুয়াবুল ইমান লিল বায়হাকী খ.৫ পৃ.৪১৭)
আয়াত দশটি এইঃ
الم (১) ذَلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِلْمُتَّقِينَ (২) الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ (৩) وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ وَبِالْآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ [البقرة/১-৪]
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ (২৫৫) لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ قَدْ تَبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ فَمَنْ يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِنْ بِاللَّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى لَا انْفِصَامَ لَهَا وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ (২৫৬) اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ –
لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَإِنْ تُبْدُوا مَا فِي أَنْفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللَّهُ فَيَغْفِرُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (২৮৪) آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ (২৮৫) لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ (২৮৬) [البقرة/২৮৪-২৮৬]
৩ নাম্বারঃ-
حدثتني أم أبان بنت الزارع ، عن أبيها ، أن جدها الزارع ، انطلق إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فانطلق بابن له مجنون ، أو ابن أخت له ، قال جدي : فلما قدمنا على رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة ، قلت : يا رسول الله ، إن معي ابنا لي ، أو ابن أخت لي ، مجنونا ، أتيتك به تدعو الله له فقال : ্র ائتني به গ্ধ فانطلقت به إليه ، وهو في الركاب ، فأطلقت عنه ثياب السفر ، وألبسته ثوبين حسنين ، وأخذت بيده حتى انتهيت به إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم ، فقال : ্র ادنه مني ، اجعل ظهره مما يليني গ্ধ فأخذ بمجامع ثوبه أعلاه وأسفله ، فجعل يضرب ظهره حتى رأيت بياض إبطيه ، ويقول : ্র اخرج عدو الله ، اخرج عدو الله গ্ধ ، فأقبل ينظر نظر الصحيح ، ليس بنظره الأول ، ثم أقعده رسول الله صلى الله عليه وسلم بين يديه فدعا له ، فمسح وجهه ودعا له ، فلم يكن في الوفد أحد بعد دعوة النبي صلى الله عليه وسلم يفضل عليه
বাংলা অনুবাদ
আমাকে উম্মু আবান বিনতে জারেয়ী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার দাদা জারেয়ী (রা.) হুজুর (সা.) এর নিকট গেলেন সাথে তার একটি পাগল ছেলে বা তার বোনের ছেলে, আমার দাদা বলেন, যখন আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকট মদিনায় পৌছালাম, আমি বল্লাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আমার সাথে আমার ছেলে বা আমার বোনের ছেলে পাগল। তাকে আপনার নিকট নিয়েসেছি,আপনি তার জন্য আল্লাহ তা’য়ালার কাছে দুআ করেন। হুজুর (সা.) বলেন তাকে আমার নিকট নিয়ে আসো, আমি তার নিকট গেলাম আমি তার সফরের কাপড় পরিবর্তন করে দুটি সুন্দর কাপড় পরিধান করিয়ে দিলাম এবং তার হাত ধরে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকট নিয়ে আসলাম।তিনি বললেন তাকে আমার নিকটে আনো, আর তার পিঠকে আমার দিকে করো, অতঃপর তার কাপড় উপর এবং নিচ থেকে ধরলেন,তারপর তার পিঠে প্রহার করলেন এমনকি আমি তার উভয় বগলের সাদা দেখতে পেলাম। আর হুজুর (সা) বললেন, হে আল্লাহর দুশমন তুমি বের হও, হে আল্লাহর দুশমন তুমি বের হও। তারপর সে সুস্থ্য মানুষের মতো তাকালেন, যা ইতিপূর্বে ছিলো না।তারপর হুজুর (সা.) তাকে সামনে বসিয়ে দুআ করলেন,তার চেহারে মাসেহ করে দুআ করলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) দুআ করার পরে এই দলের মধ্যে তার থেকে উত্তম আর কেউ ছিলো না। (মারেফাতুস সাহাবা লিআবী নাঈম আল আসবাহানী খ.৮ পৃ.৪২৮)
হাদিসের এই ভাষ্য থেকে বুজে আসে এই রোগীর জিনের কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে, অতঃএব যদি কোন রোগী জিনের কারণে পাগল হয়ে যায়, তাহলে তাকে নবী করীম (সা.) এর এই পন্থায় চিকিৎসা করলে সব থেকে বেশি ফায়দা পাওয়া যাবে।
উম্মাদ রোগের জন্য আকাবিরদের চিকিৎসা
১ নাম্বারঃ- সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর ¯্রাব বন্ধ থাকলে বা মাসিক ঋতু¯্রাব বন্ধ থাকার কারণে উম্মাদ রোগ হলে ৬০ গ্রাম তেলে ৫ গ্রাম কর্পূর মিশিয়ে ঐ তেলকে নিম্নের আয়াত ও দুআ তিন বার পাঠ করে ঐ তেলে ফুঁক দিবে। এরপর থেকে এই তেল ৪/৫ বার তল পেট ও কোমরে উত্তম রুপে ব্যবহার করবে। আয়াত ও দুআ এইঃ
أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُونَ [المؤمنون/১১৫]
ذَلِكَ تَخْفِيفٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَرَحْمَةٌ فَمَنِ اعْتَدَى بَعْدَ ذَلِكَ فَلَهُ عَذَابٌ أَلِيمٌ [البقرة/১৭৮]
وَبِالْحَقِّ أَنْزَلْنَاهُ وَبِالْحَقِّ نَزَلَ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا مُبَشِّرًا وَنَذِيرًا [الإسراء/১০৫]
بِسْمِ اللهِ الّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيٌّ فِىْ الْاَرْضِ وَلَا فِىْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمِ-
আর নিম্নের দআটি লিখে মাদুলীতে ভরে জরায়ু সোজা ব্যবহার করবে ইনশাআল্লাহ সমস্যা দূর হবে। আয়াতটি এইঃ
وَجَعَلْنَا فِيهَا جَنَّاتٍ مِنْ نَخِيلٍ وَأَعْنَابٍ وَفَجَّرْنَا فِيهَا مِنَ الْعُيُونِ (৩৪) لِيَأْكُلُوا مِنْ ثَمَرِهِ وَمَا عَمِلَتْهُ أَيْدِيهِمْ أَفَلَا يَشْكُرُونَ [يس/৩৪، ৩৫]
أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ [الأنبياء/৩০] وصلى الله على النبي واله وسلم
২ নাম্বারঃ- যদি উপরের সমস্যার কারণে উম্মাদ রোগ না হয়, বরং জিনের কারণে বা সর্দি না লাগার কারণে বা অধিক চিন্তার কারণে অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য এর কারণে এইরুপ হয়, তাহলে নিম্নের পন্থা অবলম্ভন করবে।
(১) ২৫০ গ্রাম খাটি শরিষার তেল ও এক বোতল পানিতে মুঞ্জিল তথা ৩৩ আয়াত পাঠ করে, এক সাথে তেল ও পানিতে ফুঁক দিবে, আবার পাঠ করে, তেলও পানিতে ফুঁক দিবে।
অতঃপর ঐ তেল গোসলের আধা ঘণ্টা আগে মাথাসহ সমস্ত শরীরে মালিশ করবে । তারপর ঐ পানি অন্য পানির সাথে মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ বালতি পানি রোগীর মাথায় ঠেলে গোসল করাবে । তবে যদি কয়েক বালতি ঠালার পর রোগীর শীত শীত করে, তাহলে আর ঠালবে না । গোসল শেষে রোগীর সমস্ত শরীরে ঐ তেল আবার মালিশ করে দিবে । এভাবে মোট ১৪ দিন করবে ইনশাআল্লাহ রোগী সুস্থ্য হয়ে যাবে।
(২) নিম্নের তদবীরটি লিখে রোগী যে বালিশে ঘুমায় তার মধ্যে দিয়ে রাখবেন ।
فَضَرَبْنَا عَلَى آذَانِهِمْ فِي الْكَهْفِ سِنِينَ عَدَدًا- وَتَحْسَبُهُمْ أَيْقَاظًا وَهُمْ رُقُودٌ وَنُقَلِّبُهُمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَذَاتَ الشِّمَالِ- موم دح هيا مودح ه لاطا-وصلى الله على النبى واله وسلم
(৩) ৩৩ আয়াত, আয়াতে শেফা এবং ২ নাম্বার তদবীর লিখে রোগীর কোমরে ব্যবহার করবে। আয়াতে শেফা এইঃ-
وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ- وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُور- يَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ-وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إِلَّا خَسَارًا -وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ-قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوا هُدًى وَشِفَاءٌ-
(৪) ৩৩ আয়াত পাঠ করে দিনে ২বার রোগীর শরীরে দম করবে ।
(৫) জাফরান কালী দ্বারা আয়াতে শেফা চিনা মাঠির প্লেটে লিখে তা ধৌত করে সকাল বিকাল রোগীকে পান করাবে ।
যদি রোগী দিন- রাত না ঘুমায় ডাক্টারের সাথে পরামর্শ করে ঘুমের ঔষধ খাওয়াবে ।
প্রতিদিন সকালে গভী থেকে দুধ দহন করার সাথে সাথে কাচা এক গøাস দুধ খাওয়াবে।এই কয়েকটি কাজ সঠিক ভাবে ২/৩ সপ্তাহ করতে পারলে, আশা করা যায় রোগী সুস্থ্য হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ ।(বেহেস্তী জেওর খ.৯ পৃ.৭৫)
(৬) সাতটি কূপের পানি একত্রিত করে তাতে নিম্নের আয়াতগুলি ১১ বার পাঠ করে ফুঁক দিয়ে সে পানি পাগল রোগীকে পান করালে সে সুস্থ হবে ইনশাআল্লাহ।
قُلْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِنَ الْجِنِّ فَقَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا (১) يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنَّا بِهِ وَلَنْ نُشْرِكَ بِرَبِّنَا أَحَدًا (২) وَأَنَّهُ تَعَالَى جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَلَا وَلَدًا (৩) وَأَنَّهُ كَانَ يَقُولُ سَفِيهُنَا عَلَى اللَّهِ شَطَطًا [الجن/১-৪]
(৭) সূরা ফালাক ও নাস ১১ বার করে পাঠ করে সাত কূপের পানিতে ফুঁক দিয়ে তা পান করানো হলে পাগল হওয়া রোগী ভালো হয়।(আমলিয়াতে কাশমীরী পৃ.৭৫)
অর্ধ পাগলের জন্য করণীয়ঃ যারা পরিপূর্ণ পাগল হয় নাই, কেবল পাগলামীর ভাব দেখা যায়, কিছু সময় উল্টা-পাল্টা কথা বলে আবার ভালো থাকে কিছু সময়। এরুপ রোগীর জন্য নি¤েœর আমলগুলো করবে।
যারা অর্থহীন অতীত ভবিষ্যতের কথা বলতে থাকে এবং সে এমন কিছু কথা বলতে থাকে যার কোন আগাগোড়া ঠিক নাই। এরুপ রোগীদের জন্য এই আমলটি করবে।
(১)নিম্নের আয়াতটি লিখে মাথায় ধারণ করলে অর্থহীন কথা বলা বন্ধ হবে ইনশাআল্লাহ। আয়াতটি এইঃ
لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ [البقرة/২২৫]
(২)ফজরের নামাযের পর রোগীর মাথায় হাত বুলাবে আর নিম্নের দুআটি ৭ বার পাঠ করবে, এভাবে কিছু দিন করলে ইনশাআল্লাহ সমস্যা সমাধান হবে। দুআটি এইঃ
بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لَااِلَهَ اِلَّا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيْمُ
(৩) আল্লাহ তা’য়ালার এই সিফাতী নাম يَا مُقِيْتُ (ইয়া মুকীতু) ৫০৫ বার পাঠ করে রোগীকে ফুঁক দিবে।(আমলিয়াতে কাশমীরী পৃ.৭৫-৭৬)
মাথা বিকৃত হয়ে গেলে যা করবে অনেক সময় দেখা যায় যে মানুষের মাথা বিকৃত হয়ে যায় যার ফলে সে সারা রাত ঘুমায় না উল্টা-পাল্টা কথা বলতে থাকে অনেকে আবার যা সামনে পায় তা ভেঙ্গে ফেলে, আরো কত কি যে সে করে। তাদের জন্য নি¤েœর আমলগুলো খুবই ফায়দাজনক।
(১)প্রত্যেক নামাযের পর সূরা ফালাক ১১ বার, সূরা নাস ১১ বার ও নিম্নের আয়াতটি ১১ বার পাঠ করে রোগীকে ফুঁক দিলে ইনশাআল্লাহ রোগীর ফায়দা হবে তবে এভাবে এখলাসের সাথে কিছু দিন মকরতে থাকবে। আয়াতটি এইঃ
مَا جِئْتُمْ بِهِ السِّحْرُ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ [يونس/৮১]
(২) নিম্নের আয়াত ৩১৩ বার পাঠ করে চামেলী তেলে ফুঁক দিয়ে তা মাথায় ব্যবহার করলে মাথার যে কোন রোগ নিরাময় হয়। আয়াতটি এইঃ
فَانْظُرْ إِلَى آثَارِ رَحْمَتِ اللَّهِ كَيْفَ يُحْيِ الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا إِنَّ ذَلِكَ لَمُحْيِ الْمَوْتَى وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (৫০) [الروم/৫০]
(৩) এখলাসের সাথে সূরা ক¦াফ লিখে পানিতে ভিজিয়ে তা পান করলে রোগীর উপকার হবে ইনশাআল্লাহ। (আমলিয়াতে কাশমীরী পৃ.৭৬)
Comments (0)