চোকের রোগের কুরআন ও হাদিসের আলোকে চিকিৎসা

 

চোখের রোগ

দৃষ্টি শক্তির মগজের সাথে গভীর সম্পর্ক আছে। বলা যায় যে, মগজই দৃষ্টি শক্তির প্রধান উৎস। কোন কোন সময় শুধু মাত্র চোখেই রোগ হয়, তখন শুধু চোখের চিকিৎসা করলেই চোখ ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু অনেক সময় মগজের সমস্যার কারণে চোখে রোগ হয়, তখন চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি মাথার চিকিৎসাও করতে হবে। চোখ দুটি আল্লাহ তা’য়ালার দেওয়া মূল্যবান সম্পদ। এক বার যদি চোখ নষ্ট হয়ে যায়, তখন কিন্তু কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও আর ফিরে পাওয়া যাবে না। কাজেই কখনও বিজ্ঞ ও প্রাচীন চিকিৎসক ছাড়া চিকিৎসা করাবেন না। ( বেহেস্তী জেওর খ.৯ পৃ.৭৯)

চোখ উঠা

চোখ উঠলে তাতে হাত লাগাবেন না। ময়লা বাহির হয়তে দিবেন। প্রথম অবস্থায় ঔষধ ব্যবহার না করাই ভালো। তবে প্রচুর যন্ত্রণা হলে এবং চোখ উঠা দীর্ঘ দিন থাকলে উপযুক্ত ঔষধ ব্যবহার করবে।

চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা

১ নাম্বারঃ- হলুদ থেতো পানিতে চোখ ধোয়া আর ঐ পানিতে কাপড় ভিজিয়ে ঐ কাপড় দ্বারা চোখ পরিস্কার করবে। এতে চোখের লাল কাটবে ও দ্রæত সেরে যাবে ইনশাআল্লাহ। (চিরঞ্জীব বনৌষধি খ.১ পৃ.৯২)

২ নাম্বারঃ- যে কোন প্রকার চোখের রোগ এবং চোখের ভিতরের যখম ও আঘাতে শে^ত চন্দন ঘষিয়া চোখের চতুরপাশে লেপ দিলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। বহু পরিক্ষিত এটি।
( বেহেস্তী জেওর খ.৯ পৃ.৮০)

৩ নাম্বারঃ- হরীতকীর একটি টুকরা পানিতে ভিজিয়ে সে পানি দ্বারা চোখ ধৌত করলে চোখ উঠা ও চোখের সাধাারণ রোগের উপকার হয়। (চিরঞ্জীব বনৌষধি খ.১ পৃ.১২৩)

৪ নাম্বারঃ- দুই টুকরা আমলকী গরম পানিতে ধুয়ে ৪/৫ চামচ গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে। পরের দিন সকালে ছেকে নিয়ে ৩/৪ ফোটা চোখে দিতে হবে। এই ভাবে ২ বা ৩ দিন চোখে দিলে চোখ উঠা সেরে যাবে ইনশাআল্লাহ। (চিরঞ্জীব বনৌষধি খ.১ পৃ.১২৮)

চোখ উঠা রোগে সবর করলে যে প্রতিদানের কথা বলেছে নবীজি (সা.)

১ নাম্বারঃ-সবর করলে পাওয়া যাবে জন্নাত
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، قَالَ : سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ ، يَقُولُ : ” رَمِدَتْ عَيْنِي ، فَعَادَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، ثُمَّ قَالَ : يَا زَيْدُ ، لَوْ أَنَّ عَيْنَكَ لَمَّا بِهَا كَيْفَ كُنْتَ تَصْنَعُ ؟ قَالَ : كُنْتُ أَصْبِرُ وَأَحْتَسِبُ ، قَالَ : لَوْ أَنَّ عَيْنَكَ لَمَّا بِهَا ، ثُمَّ صَبَرْتَ وَاحْتَسَبْتَ كَانَ ثَوَابُكَ الْجَنَّةَ
আবু ইসহাক (রহঃ) বলেন, আমি যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) কে বলতে শুনেছি, আমার চক্ষুরোগ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ধেখতে এলেন, অতঃপর বলেনঃ হে যায়েদ! এভাবে তোমার চক্ষুরোগ অব্যাহত থাকলে তুমি কি করবে? তিনি বলেন, আমি সবর করবো এবং সওয়াবের আশা করবো। তিনি বললেনঃ তোমার চক্ষুরোগ অব্যাহত থাকলে এবং তুমি তাতে সবর করলে ও সওয়াবের আশা করলে তুমি তার বিনিময়ে জান্নাত লাভ করবে। ( আল আদাবুল মুফরাদ, হাদিস ৫৩৪)

নবীজি (সা.) চোখের যত্ন যেভাবে নিতেন

 

১ নাম্বারঃ- নবীজি (সা.) চোখের যতœ নেওয়ার জন্য তিনি প্রতি রাতে উভয় চোখে তিন বার করে সুরমা ব্যবহার করতেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ مَنْصُورٍ ، عَنْ عِكْرِمَةَ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : ” اكْتَحِلُوا بِالإِثْمِدِ , فَإِنَّهُ يَجْلُو الْبَصَرَ ، وَيُنْبِتُ الشَّعْرَ ” وَزَعَمَ ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَانَتْ لَهُ مُكْحُلَةٌ يَكْتَحِلُ مِنْهَا كُلَّ لَيْلَةٍ , ثَلاثَةً فِي هَذِهِ ، وَثَلاثَةً فِي هَذِهِ ” .
ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা ’ইছমিদ’ সুরমা ব্যবহার করো। কারণ, তা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে ও পরিষ্কার রাখে এবং অধিক ভ্রæ উৎপাদন করে।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) আরো বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি সুরমাদানী ছিল। প্রত্যেক রাতে ডান চোখে তিন বার এবং বাম চোখে তিন বার সুরমা লাগাতেন।( সুনানুল কুবরা লিল ইমাম বায়হাকী ৮৫১৬)

চোখ উঠা রোগের জন্য আকাবিরদের চিকিৎসা

১ নাম্বারঃ- নিম্নের দুআটি ভোজপাতায় লিখে চোখের উপরে কপালে বাধলে, চোখ উঠা রোগ ভালো হেেয় যাবে ইনশাআল্লাহ। দুআটি এইঃ
ايها الرمود الرمود التمسك بعروق الرأس عزمت عليك بتوراة موسى وانجيل عيسى و زبور داؤد و فرقان محمد صلى الله عليه وسلم فَكَشَفْنَا عَنْكَ غِطَاءَكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ – ولاحول ولا قوة الا بالله العلي العظيم- وصلى الله عليه و سلم
( বেহেস্তী জেওর খ.৯ পৃ. ৮১)

২ নাম্বারঃ- চোখ উঠার কারণে যদি চোখে বেশি পরিমাণে ব্যথা হয়, তাহলে بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ পাঠ করে সূরা ফাতেহা ৭ বার পাঠ করে চোখে ফুঁক দিবে। তাহলে অতিদ্রুত চোখের ব্যথা দূর হয়ে যাবে। ( আসান আমলিয়াত ও তাবিজাত খ. ২ পৃ.৯৮)

৩ নাম্বারঃ- চোখ উঠলে সাহাবীদের থেকে যে আমল পাওয়া যায়।
كانَ إِذَا أَصَابَهُ رَمَدٌ أَوْ أَحَداً مِنْ أَصْحَابِهِ دَعَا بِهؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ : اللهُمَّ مَتِّعْنِي بِبصَرِي وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنِّي وَأَرِنِي فِي الْعَدُوِّ ثَأرِي وَانْصُرْنِي عَلَى مَنْ ظَلَمَنِي ) ) ( ابن السني ك ) عن أنس .
ইবনুস সুন্নি (রহঃ) আনাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, যখন তার চোখ উঠতো অথবা তার কোন সাথীর চোখ উঠতো তার জন্য নি¤েœর কালিমাগুলো দিয়ে দুআ করতেন। কালিমাগুলো এইঃ
اللهُمَّ مَتِّعْنِي بِبصَرِي وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنِّي وَأَرِنِي فِي الْعَدُوِّ ثَأرِي وَانْصُرْنِي عَلَى مَنْ ظَلَمَنِي
الفتح الكبير في ضم الزيادة إلى الجامع الصغير – (ج ২ / ص ৩২৫)

৪ নাম্বারঃ- ইবনুস সুন্নি (রহঃ) তার কিতাব মুস্তাদরাকে হাকিমে এবং হিসনে হাসিন কিতাবে লিখেছেন, যদি কারো চোখ ব্যথা করে তাহলে ঐ দুআটি পাঠ করলে তার চোখের ব্যথা দূর হয়ে যাবে। ( তিব্বে নববী বাংলা পৃ.৩৮)

দৃষ্টিশক্তি হীনতা

কখনও নিজের অজান্তে আবার কখনও বা কিছু অভ্যাসের কারণে চোখের জ্যোতি বা দৃষ্টিশক্তি কুমিয়ে ফেলছি আমরা। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে দিনের বেশির ভাগ কাটান। যা কিনা চোখের জ্যোতি কমার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে রাতে আলো নিভিয়ে চোখের কাছে মোবাইল রেখে তাতে সিনেমা দেখা বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চ্যাট কেড়ে নিচ্ছে আমাদের চোখের জ্যোতি।
যার ফলে অনেকেই নিকটের বস্তু দেখতে পায় কিন্তু দূরের জিনিস দেখতে পায় না। কারো আবার এর উল্টা হয়। বৃদ্ধ বয়সে দৃষ্টি হ্রাস পেলে তার চিকিৎসা অসম্ভব। তবে বৃদ্ধ হওয়ার পূর্বে সমস্যা দেখা দিলে সুচিকিৎসা দ্বারা দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব। চোখের ভিতর পর্দা বা ছানি পড়লে বিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা উপযুক্ত সময় অপারেশন করাবে।

যে সব কারণে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়

১. মোবাইল ল্যাবটপ এর সীমাহীন ব্যবহার
২. বিশেষ করে লাইট বন্ধ করে দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করা
৩. পর্নো ভিডিও দেখা
৪. ধুমপানে আসক্তি, কেবল হার্ট না চোখের জন্যও ক্ষতিকর। দৃষ্টিশক্তি কম হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে এই ধুমপানকেই চিহিৃত করেছেন চিকিৎসকরা।
৫. বেশি পরিমাণে হস্তমৈথুন করা

চোখের জ্যোতি বাড়ানোর উপায়

১. চোখের জ্যোতি বাড়াতে বিটামিন এ জাতীয় খাবার বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যেমনঃ মিষ্টি পেঁপে, কাঠাল, কুমড়া, কালো কচু শাক, হেলেঞ্চা শাক, পুুই শাক, লাউ শাক, ধনিয়া পাতা, পাট শাক, গাজর, মিষ্টি আলু, ডিম, কলিজা, ছোট মাছ, এই জাতীয় খাবার চোখের জ্রোতি বাড়ায়।
২. চোখকে ধূলিকণা থেকে বাঁচাতে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে সব সময় চোখকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে। যেটা মসলমানেরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পূর্বে অযুর মাধ্যমে করে থাকে।
৩. বেশী করে কুরআন তেলাওয়াত করুণ। আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ মেহেরবানীতে চোখ কখনও নষ্ট হবে না।
৪. ডিমের সাদা অংশ ও সবুজ শাক-সবজি বেশি করে খাবেন।
৫. বাদামের ৮-১০ টি দানা রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে কিছুটা দুধ খেতে হবে। এতে চোখের দৃষ্টিশক্তিবাড়বে ও বলবৃদ্ধি পাবে।
( সময় নিউজ ৫ মার্চ ২০২২)

চোখের জ্যোতি বাড়াতে নবীজি (সা.) যে দুআ শিখিয়েছেন

১ নাম্বারঃ- মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো চোখ-কানও আল্লাহ তা’য়ালার বড় নেয়ামতসমূহের অন্তরর্ভুক্ত। দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তিহীন মানুষই কেবল এর মর্যাদা অনুভব করতে পারে। তাই এই নেয়ামত ভালো রাখার জন্য সাবধানতার পাশাপাশি আল্লাহ তা’য়ালার কাছে বেশি বেশি দুআও করা দরকার। কারণ নবী করীম (সা.) চোখ ও কানের সুস্থতার জন্য দুআ শিখিয়েছেন।
عن عبد الرحمن بن أبي بكرة أنه قال لأبيه يا أبت اني أسمعك تدعو كل غداة اللهم عافني في بدني اللهم عافني في سمعي اللهم عافني في بصري لا اله الا أنت تعيدها ثلاثا حين تمسي وحين تصبح فقال نعم يا بني سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول بهن وأنا أحب أن أستن بسنته
বাংলা অনুবাদঃ আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (র.) থেকে বর্ণিত, তিনি তার পিতাকে বললেন, হে আব্বাজান! আমি আপনাকে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তিন বার বলতে শুনি, اللهم عافني في بدني اللهم عافني في سمعي اللهم عافني في بصري لا اله الا أنت তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে এ বাক্যগুলো দ্বারা দুআ করতে শুনেছি। সে জন্য আমিও তার নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। ( আল আদাবুল মুফরাদ লিল বুখারী খ.১ পৃ.২৪৪)
উপরে আমরা আলোচনা করেছি যে, রাসুল (সা.) চোখের যতœ করার জন্য সুরমা ব্যবহার করতেন এবং এই হাদিস থেকে বুজলাম যে, তিনি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা চোখ ও কান ভালো রাখার জন্য নি¤েœর দুআটি পাঠ করতেন। দুআটি এইঃ
اَللَّهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ اَللَّهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ اَللَّهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ لَا اِلَهَ اِلَّا أَنْتَ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আফিনী ফী বাদানী আল্লাহুম্মা আফিনী ফী সাময়ী আল্লাহুম্মা আফিনী ফী বাসারী লাইলাহা ইল্লা আন্তা।

চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো করার ঘরোয়া চিকিৎসা

১ নাম্বারঃ- কিছু দিন নিয়মিতভাবে পানির ¯্রােতের দিকে তাকালে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
২ নাম্বারঃ- সূর্যোদয়ের পূর্বে নাক দ্বারা পানি টানলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়। (বেহেশতী জেওর খ. ৯ পৃ. ৮১)
৩ নাম্বারঃ- অকালেই চোখে ঝাপসা দেখা দিলে নিম পাতার রস ৫/৭ ফোটা দুধ ও পানির সাথে মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা দূর হয় তবে এটা একাধারে কিছু করতে থাকবে। (চিরঞ্জীব বনৌষধি খ.১ পৃ.৪০)
৪ নাম্বারঃ- অল্প বয়সে যাদের দৃষ্টিশক্তি কুমে যাচ্ছে, যার ফলে কিছু দিন পর পর চশমার পাওয়ার বাড়াতে হচ্ছে, এক্ষেত্রে তারা নিয়মিত বেশ কিছু দিন আমলকীর রস ২/৩ চামচ এক চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে খাবে আশা করা যায় এতে চোখের খুবই উপকার হবে। তবে পুরাতন অজীর্ণদোষে প্রথম প্রথম অম্বল বা গলা ও বুক জ¦ালা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে প্রথমে মাত্রা কম করে খেয়ে অভ্যাস করে নিতে হবে।(চিরঞ্জীব বনৌষধি খ.১ পৃ.১২৮)

চোখের জোতি বাড়াতে আকাবিরদের আমল

১ নাম্বারঃ- প্রত্যেক ফরয নামায শেষে তিন বার দুরুদ শরীফ, এগারো বার يَا نُوْرُ (ইয়া নুরু) পাঠ করে, আবার তিন বার দুরুদ শরীফ পাঠ করে আঙ্গুলের উপর ফুঁক দিয়ে চোখের উপর বুলিয়ে দিলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
২ নাম্বারঃ- ফজরের ফরয নামায শেষে নিম্নোক্ত দুআটি পাঁচ বার পাঠ করে আঙ্গুলের উপর ফুঁক দিয়ে সে আঙ্গুল চোখের উপর বুলিয়ে দিলে দৃষ্টিশক্তি বুদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ। দুআটি এইঃ
اَللّٰهُ نُوْرُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ مَثَلُ نُوْرِهٖ كَمِشْكٰوةٍ فِیْهَا مِصْبَاحٌ ؕ اَلْمِصْبَاحُ فِیْ زُجَاجَةٍ ؕ اَلزُّجَاجَةُ كَاَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّیٌّ یُّوْقَدُ مِنْ شَجَرَةٍ مُّبٰرَكَةٍ زَیْتُوْنَةٍ لَّا شَرْقِیَّةٍ وَّ لَا غَرْبِیَّةٍ ۙ یَّكَادُ زَیْتُهَا یُضِیْٓءُ وَ لَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ ؕ نُوْرٌ عَلٰی نُوْرٍ ؕ یَهْدِی اللّٰهُ لِنُوْرِهٖ مَنْ یَّشَآءُ ؕ وَ یَضْرِبُ اللّٰهُ الْاَمْثَالَ لِلنَّاسِ ؕ وَ اللّٰهُ بِكُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌۙ۝۳۵
(সূরা নুর ৩৫)

৩ নাম্বারঃ- নিম্নের দুআটি পাঠ করে চোখে ফুঁক দিলে দৃষ্টিশক্তি অনেক গুণে বৃদ্ধি পায়। দুআটি এইঃ
يَا سَمِيْعُ يَا مُجِيْبُ يَا سَمِيْعَ الدُّعَاءِ يَا لَطِيْفُ لِمَا يَشَاءُ اِحْفَظْ عَلَيَّ بَصَرِيْ
বাংলা উচ্চারণঃ ইয়া সামীউ ইয়া মুজীবু ইয়া সামীয়াদ দুআয়ি ইয়া লাতীফু লিমা ইয়াশাউ ইহফাজ আলাইয়া বাসারী। (আ’মালিয়াতে কাশমীরী রহ. পৃ. ৭৯)
৪ নাম্বারঃ- নিম্নের দুআটি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর তিন বার পাঠ করে চোখে ফুঁক দিলে চোখের জোতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। দুআটি এইঃ
فَكَشَفْنَا عَنْكَ غِطَائَكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيْدٌ
বাংলা উচ্চারণঃ ফাকাশাফনা আনকা গেতাআকা ফাবাসারুকাল ইয়াওমা হাদীদ।

Comments (0)


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

×

Hello!

Click below to chat on WhatsApp

×