জ্বর হলে নবীজি (সা.) ও আকাবিরগণ যা করেছেন

জ্বর কাকে বলে?

কোনো কোনো রোগের কারণে দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াকে জ¦র বলা হয়।
কারণ যাই হোক, দেহে তাপ উৎপাদন ও তাপ নির্গমনের ভারসাম্য নষ্ট হলে দেহের দাপ বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামক অংশে তাপনিয়ন্ত্রণকেন্দ্র অবস্থিত। ঐ কেন্দ্রে তাপ-উৎপাদক পাইরোজেন জাতীয় উপাদানের প্রভাবে জ¦র দেখা দেয়। জীবাণু বা দেহকলা থেকে পাইরোজেন তৈরি হতে পারে।
মনে রাখবেন, জ্বর যদিও একটি সাধারণ রোগ আর মানুষ একে এখন সাধারণই মনে করে থাকে, তবে কোন কোন সময় এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে থাকে, সে সময় ভালো ডাক্টারের পরামর্শ নেওয়া সব থেকে উৎকৃষ্ট। তবে অভিজ্ঞতার আলোকে আমার যা বুজে আসছে, তাহলো জ¦র অনেক কারণে মানুষের হতে পারে, তার মধ্যে একটি হলো, শারীরিক যে কোন রোগের কারণে জ¦র হতে পারে, আর কোন কোন সময় ভয় পেয়ে জ¦র হতে পারে আবার কখনও জিনের প্রভাবে জ¦র হতে পারে, যদি ভয় পেয়ে বা জিনের প্রভাবে জ¦র হয়, তাহলে তা ডাক্টারি চিকিৎসা দ্বারা তেমন কোন ফায়দা পাওয়া যায় না। তাই গ্রামের লোকেরা ডাক্টারী ঔষধ সেবন করার পরে জ¦র সারতে দেরি হলে, তারা আলেমগণের নিকট থেকে পানি পড়া ও ঝাড়-ফুঁক নিয়ে থাকে। তারা কারণ বুজুক বা নাই বুজুক তারা মনে করে ভয় পেয়ে জ¦র হলো কি না তাই তারা পানি পড়া ও ঝাড়-ফুঁক নিয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিৎ কারো জ¦র হলে, কারণ যেহেতু অজানা, তাই ডাক্টারী চিকিৎসার পাশাপাশি আল্লাহর নবী ও সাহাবায়ে কেরাম ও আকাবিরদের শিখানো আমল দ্বারা ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ করা। তাই আমরা এখন জ¦র সারানোর কিছু ঘরোয়া পন্থা ও কুরআন হাদিসের আমল দেখাবো

জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসা

১ নাম্বারঃ- জ্বর বেশি পরিমাণ হলে, দেড় চামুচ পেপে পাতার রস এক কাপ পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা জ¦রের বেগ, বমি, মাথার যন্ত্রনা, শরীরে দাহ কুমে যাবে। জ¦র কুমে গেলে আর খাওয়ার প্রয়োজন নাই।

২ নাম্বারঃ- জ্বর আসার আগে, জ¦র এখনও আসে নাই, জ¦র জ¦র ভাব। প্রস্রাব কুমে গেছে। নাক প্রায় বন্ধ, নিঃশ^াস নিতে কষ্ট হচ্ছে, কপালটা ধরে আছে, সব মিলিয়ে শরীর খুবই খারাপ। এইরুপ অবস্থায় পেঁয়াজের রস শরিষার তেলের মতো টানলে বুকে জমা বা বসা সর্দি বের হয়ে যাবে, সেই সাথে জ¦র জ¦র ভাবটাও চলে যাবে। (লোকমান হেকিমের কবিরাজী ও টোটকা চিকিৎসা ১০৫)

৩ নাম্বারঃ- ৮-১০টি তুলসি পাতা ভালো ভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে, একটি পাত্রে পানি গরম করে তার মধ্যে দিয়ে দিন তুলসি পাতা,ভালোভাবে ফুটিয়ে ঐ পানি প্রতিদিন সকালে এক কাপ করে খান। আশা করা যায় তুলসি পাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান জ¦র, সর্দি, গলা ব্যথা, ব্রংকাইটিস, ম্যালেরিয়ার মতো অনেক রোগের উপশমে সাহায্য করবে। এই পাতা শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে রোগ পতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
৪ নাম্বারঃ- এক চা চামচ মধু, অর্ধেকটা লেবুর রস ও এক কাপ গরম পানি নিয়ে, সব এক সাথে মিশিয়ে, দিনে ২ বার করে খান। মধুতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, শরীরের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। যার ফলে ভাইরাসজনিত জ¦র কমে যায়। আর ভাইরাস জনিত রোগের ক্ষেত্রে লেবুর রস ও মধু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

৫ নাম্বারঃ- নিম গাছের ফল, পাতা, ছাল, মূল, প্রতিটি ২৫০ গ্রাম করে নিয়ে, চার কেজি পানিতে সিদ্ধ করে এক কেজি থাকলে নামিয়ে ছেকে আবার জ¦াল দিতে থাকবে । যখন ২৫০ গ্রাম থাকবে তখন নামিয়ে রাখবেন ইহাকে নিমের ক্কাথ বলে। এই ক্কাথ অনেক রোগের ঔষধ।
প্রতিদিন ৩ বার এই ক্কাথ ১২ গ্রাম পরিমাণ সেবন করলে, সকল প্রকার পুরাতন জ¦র ভালো হয়। সর্দিও দূর হয়। (দেশীয় গাছ-গাছড়া ও লতাপাতার গুণাগুণ পৃ.১৫)
দুআর দ্বারা জ¦রের চিকিৎসা
জ্বর হলে কি দুআ পাঠ করতে হবে তা শিখিয়েছে আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সা.)
عَنْ ابْنِ عَبَّاس أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ مِنْ الْحُمَّى وَمِنْ الْأَوْجَاعِ كُلِّهَا أَنْ يَقُولَ بِسْمِ اللَّهِ الْكَبِيرِ أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ شَرِّ كُلِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (সা.) তাদেরকে শিখিয়েছেন, জ¦র এবং সমস্ত ব্যথার জন্য বলবে, بِسْمِ اللَّهِ الْكَبِيرِ أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ شَرِّ كُلِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ
(সুনানে তিরমিজী খ ৭ পৃ. ৪১১)
বাংলা উচ্চারণ
বিসমিল্লাহিল কাবীর আ’উজুবিল্লাহিল আজীম মিন শাররি কুল্লি ইরকিন নায়্যারির ওয়ামিন শার্রি হার্রিন নার।
যে দুআ পড়ার সাথে সাথে জ¦র চলে যায়
عن جده أنس بن مالك ، قال : دخل رسول الله صلى الله عليه وسلم على عائشة رضي الله عنها وهي موعوكة ، فقال : ্র مالي أراك هكذا গ্ধ ، فقالت : بأبي وأمي هذه الحمى وسبتها ্র ، فقال : গ্ধ لا تسبيها فإنها مأمورة ، ولكن إن شئت علمتك كلمات إذا تلوتهم أذهبها الله تعالى عنك ্র ، قالت : فعلمني ، قال : গ্ধ قولي : اللهم ارحم جلدي الرقيق ، وعظمي الدقيق من شدة الحريق يا أم ملدم ، إن كنت آمنت بالله العظيم فلا تصدعي الرأس ولا تنتني الفم ، ولا تأكلي اللحم ، ولا تشربي الدم وتحولي مني إلى من اتخذ مع الله إلها آخر ্র ، قال فقالتها فذهبت عنها
আনাস ইবনে মালেক থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আয়েশা (রা.) এর নিকট প্রবেশ করলেন, তিনি জ¦রে কষ্ট পাচ্ছিলেন, ফলে রাসূল (সা.) বললেন, আমার কি হলো যে তোমাকে এই রুপ দেখছি? অতঃপর আয়েশা (রা.) বললেন আমার পিতা-মাতা কুরবান হোক এই জ¦রের কারণে এই অবস্থা তিনি উহাকে গালি দিলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন গালি দিয়ো না, সে আল্লাহর আদেশটিত। কিন্তু তুমি যদি চাও তোমাকে এমন কালিমা শিখিয়ে দিতে পারি যা পাঠ করলে আল্লাহ তা’য়ালা তোমার জ¦র নিয়ে যাবেন। আয়েশা (রা.) বললেন আমাকে শিখিয়ে দেন, রাসুল (সা.) বললেন তুমি বলো,
اللهم ارحم جلدي الرقيق ، وعظمي الدقيق من شدة الحريق يا أم ملدم ، إن كنت آمنت بالله العظيم فلا تصدعي الرأس ولا تنتني الفم ، ولا تأكلي اللحم ، ولا تشربي الدم وتحولي مني إلى من اتخذ مع الله إلها آخر
রাবী বলেন, আয়েশা (রা.) উহা পাঠ করলেন, আর তার জ¦র চলে গেলো। (দালাইলুন নবুওয়াত লিল বায়হাকী খ.৬ পৃ.৩৫৬)
বাংলা উচ্চারণ
আল্লাহুম্মার হাম জিলদির রাকিকা ওয়া আজ্জিমিদ দাকিকা মিন শিদ্দাতিল হারীকি ইয়া উম্মা মালদামিন ইন কুন্তু আমান্তু বিল্লাহিল আজীম ফালা তুসাদ্দিইর রায়াসা ওয়ালা তানতানিল ফামা ওয়ালা তাকুলিল লাহমা ওয়ালা তাশরাবিদ দামা ওয়া তাহুলী মিন্নী ইলা মানিত্তাখাজা মায়াল্লাহি ইলাহান আখারা।
যে দুআ পড়ে ফুঁক দিলেই জ¦র ভালো হয়ে যায়
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَأَبُو بَكْرٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِهِ حُمَّى شَدِيدَةٌ، مَنْصُوبٍ عَلَى فِرَاشِهِ. قَالَ: فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ فَمَا رَدَّ عَلَيْنَا، فَلَمَّا رَأَيْنَا مَا بِهِ خَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِ، فَمَا مَشَيْنَا إِلَّا قَرِيبًا –[حَتَّى أَدْرَكَنَا رَسُولُهُ، فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ وَلَيْسَ بِهِ بَأْسٌ، وَهُوَ جَالِسٌ، فَقَالَ: ” إِنَّكُمَا دَخَلْتُمَا عَلَيَّ، فَلَمَّا خَرَجْتُمَا مِنْ عِنْدِي نَزَلَ الْمَلَكَانِ، فَجَلَسَ أَحَدُهُمَا عِنْدَ رَأْسِي، وَالْآخَرُ عِنْدَ رِجْلَيَّ، فَقَالَ الَّذِي عِنْدَ رِجْلَيَّ: مَا بِهِ؟ قَالَ الَّذِي عِنْدَ رَأْسِي: حُمَّى شَدِيدَةٌ. قَالَ الَّذِي عِنْدَ رِجْلَيَّ: عَوِّذْهُ. قَالَ: بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ، وَاللَّهُ يَشْفِيكَ، مِنْ كُلِّ دَاءٍ يُؤْذِيكَ، وَمِنْ كُلِّ نَفْسٍ حَاسِدَةٍ، وَطَرْفَةِ عَيْنٍ، وَاللَّهُ يَشْفِيكَ، خُذْهَا فَلْتُهْنِكَ. قَالَ: فَمَا نَفَثَ وَلَا نَفَخَ فَكُشِفَ مَا بِي، فَأَرْسَلْتُ إِلَيْكُمَا لِأُخْبِرَكُمَا “
উমার ইবনে খত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আর আবু বকর (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) এর নিকট প্রবেশ করলাম, তার প্রচুর পরিমাণে জ¦র। তার বিছানায় শুয়ে আছে। তিনি বলেন আমরা তাকে সালাম দিলাম, কোন উত্তর পেলাম না, যখন আমরা এই অবস্থা দেখলাম, আমরা তার কাছ থেকে বের হলাম, আমরা অল্প কিছু দুর আসার পরেই, হুজুর (সা.) এর বার্তাবাহক আমাদেরকে পেয়ে গেলেন, ফলে আমরা তার নিকট প্রবেশ করলাম, আর আমরা দেখলাম যে তার কোন সমস্যা নাই, তিনি বসে আছেন। হুজুর (সা.) বললেন, তোমরা দুজন আমার নিকট প্রবেশ করেছিলে, তোমরা যখন আমার নিকট থেকে বের হলে, দুজন ফেরেস্তা এসেছিল, একজন আমার মাথার নিকট বসেছিল আর একজন আমার পায়ের নিকট বসেছিল, আমার পায়ের নিকট যেছিল সে বলল, তার কি হয়েছে? সে বলল, কঠিন জ¦র হয়েছে, যে আমার পায়ের নিকট ছিলো সে বলল, তার জন্য আশ্রয় প্রার্থনসা করো তিনি বললেন, بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ، وَاللَّهُ يَشْفِيكَ، مِنْ كُلِّ دَاءٍ يُؤْذِيكَ، وَمِنْ كُلِّ نَفْسٍ حَاسِدَةٍ، وَطَرْفَةِ عَيْنٍ، وَاللَّهُ يَشْفِيكَ، خُذْهَا فَلْتُهْنِكَ
হুজুর (সা. বলেন, যখন ফুঁক দিলো সাথে সাথে আমার সমস্যা দুর হয়ে গেলো, ফলে আমি লোক পাঠিয়েছি তোমাদের সংবাদ দেওয়ার জন্য।(মুছান্নিফে ইবনে আবী শায়বা খ.৫ পৃ. ৪৪৫)
বাংলা উচ্চারণ
বিসমিল্লাহি আরকীকা ওয়াল্লাহি ইয়াশফীকা মিন কুল্লি দাইন ইউজীকা ওয়ামিন কুল্লি নাফসিন হাসিদাতিন ওয়া তারফাতি আইনিন ওয়াল্লাহি ইয়াশফীকা খুজহা ফালতুহনিকা।

জ্বর দূর করার জন্য আকাবিরদের আমল

১ নাম্বারঃ- সামান্য তুলা নিয়ে ১১ দুরুদ শরীফ পাঠ করবে,তারপর ৫ বার সূরা ফাতেহা পাঠ করে ঐ তুলাই ফুঁক দিয়ে তা রোগীর ডান কানে দিবে। এরপর ৫ বার সূরা ফাতেহা পাঠ করে এবং দুরুদে ইব্রাহিম ১১ বার পাঠ করে বাম কানে দিবে। এই আমল প্রথম দিন যে সময় করেছে, পরের দিন ঠিক সেই সময় ডান কানের তুলা বাম কানে এবং বাম কানের তুলা ডান কানে দিবে ইনশাআল্লাহ জ¦র চলে যাবে। ( আমলিয়াতে কাশমীরী ১১৪)

২ নাম্বারঃ- কাপানো জ¦রের জন্য, নি¤েœর আয়াত এবং দুরুদটি লিখে পানিতে ভিজিয়ে বার বার পান করাবে ইনশাআল্লাহ জ¦র চলে যাবে। আয়াত ও দুরুদ এইঃ
قُلْنَا يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ – وَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَخْسَرِينَ – وَبِالْحَقِّ أَنْزَلْنَاهُ وَبِالْحَقِّ نَزَلَ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا مُبَشِّرًا وَنَذِيرًا – وَ صَلَّ اللهُ عَلَى خَيْرِ خَلْقِهِ مُحَمَّدٍ وَاَلِهِ وَصَحْبِهِ اَجْمَعِيْنَ-
(আসান আমলিয়াত ও তাবিজাত খ.২ পৃ. ১৮৫)

৩ নাম্বারঃ- নিম্নের দুআটি লিখে গোলাপ জলে ভিজিয়ে রোগীকে কয়েক বার খাওয়ালে জ¦র চলে যাবে ইনশাআল্লাহ। দুআটি এইঃ
يَا حَيُّ حِيْنَ لَا حَيُّ فِيْ دَيْمُوْمَةِ مُلْكِهِ وَ بَقَائِهِ يَا حَيُّ-
(মুজার্রিব তা’বীজাত ও আমলিয়াত কি নায়াব কিতাব)

৩ নাম্বারঃ- জ্বর আক্রান্ত রোগীর পিঠে এক পাশে আজানের শব্দগুলো আর এক পাশে একামতের শব্দগুলো আঙ্গুল দ্বারা লিখবে ইনশাআল্লাহ জ¦র চলে যাবে।
( কিতাবুত তাবীজাত পৃ. ১৩৬৯, বেহেস্তী জেওর খ.৯ পৃ.১৩৮, আমলিয়াতে কাশমীরী পৃ. ১১২)

Comments (0)


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

×

Hello!

Click below to chat on WhatsApp

×