যে কোন জিনের সমস্যায় রুকইয়াহ
যে কোন জিনের সমস্যায় রুকেইয়াহ
জিনের সমস্যার জন্য রুকইয়াহ (রুকইয়া) নির্দিষ্ট আয়াত ও দোয়াগুলোর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। এটি কুরআনের আয়াত এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আয়াত ও দোয়া উল্লেখ করা হলো, যা রুকইয়াহ হিসেবে ব্যবহার করা হয়:
১. সুরা আল-ফাতিহা (Surah Al-Fatiha)
سورة الفاتحة এই সুরাটি সম্পূর্ণ রুকইয়াহর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি বারবার পড়া যায়।
২. সুরা আল-বাকারাহ (আয়াত ২৮৫-২৮৬)
سورة البقرة – آية ٢٨٥-٢٨٦
আয়াতুল কুরসি (আয়াত ২৫৫): এটি রুকইয়াহর প্রধান আয়াতগুলোর একটি, জিন এবং শয়তান থেকে রক্ষা পেতে পড়া হয়।
“آمَنَ الرَّسُولُ…” (সুরা আল-বাকারাহর শেষ দুই আয়াত): এই আয়াতদ্বয়ও অত্যন্ত কার্যকরী।
৩. সুরা আল-ইখলাস, সুরা আল-ফালাক, সুরা আন-নাস
سورة الإخلاص, سورة الفلق, سورة الناس এই তিনটি সুরা তিনবার করে পড়া হয় এবং শরীরের উপর ফুঁ দেওয়া হয়। এগুলোকে “আল-মুআউয়িযাত” বলা হয়, যা সব ধরনের ক্ষতি, বিশেষ করে জিন ও শয়তান থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করে।
৪. অন্যান্য দোয়া ও যিকর:
أعوذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق
অর্থ: “আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ শব্দের আশ্রয় চাই, যা তিনি সৃষ্টি করেছেন তার ক্ষতি থেকে।” (মুসলিম)
بسم الله الذي لا يضر مع اسمه شيء في الأرض ولا في السماء وهو السميع العليم
অর্থ: “আল্লাহর নামে, যার নামের সাথে পৃথিবী ও আকাশের কোন কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।” (তিরমিজি)
রুকইয়াহর প্রক্রিয়া:
১. শুদ্ধ নিয়ত: রুকইয়াহ পড়ার সময় আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখা এবং তাঁর নিকট সাহায্য চাওয়া। ২. পানিতে ফুঁ দেওয়া: রুকইয়াহ পড়ার পর কিছু আয়াত পানির উপর ফুঁ দিয়ে পান করতে বলা হয়, যা রোগ মুক্তিতে সহায়তা করে। ৩. নিজের উপর ফুঁ দেওয়া: আয়াত পড়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুঁ দেওয়া।
এগুলো জিন বা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রচলিত রুকইয়াহ পদ্ধতি।
Comments (0)